চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে সৃষ্টি হওয়া প্রবল স্রোতে ভোলার মনপুরা উপজেলার ৭ গ্রাম ও চরফ্যাশন উপজেলার দুটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর ও চর কুকরিমুকরিসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে নষ্ট হয়েছে রাস্তাঘাট, পুকুর ও মাছের ঘের। বন্ধ হয়ে গেছে এসব এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্লাবনকবলিত এলাকার মানুষদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদিকে মনপুরায় জোয়ারের পানির তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবল স্রোতের তোড়ে হাজিরহাট-সাকুচিয়ার পাকা সংযোগ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ৭ গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গত মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল থেকে অস্বাভাবিক জোয়ারের ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়ে চরফ্যাশনের কুকরিমুকরি ও ঢালচর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। ঘর-বাড়ি ডুবে যাওয়ায় চুলা জ্বলেনি তাঁদের। ফলে পানিবন্দি পরিবারগুলোতে দেখা দিয়েছে খাবারের তীব্রসংকট। এ অবস্থায় গত বুধবার (২৬ মে) দুপুরে হেঁটে ও নৌকাযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থসহ শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন চর কুকরিমুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন ও ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার। এ সময় তারা চিঁড়া, মুড়ি, গুড়, লবণ, দুধ, বিস্কুট, মোমবাতি, খাবার স্যালাইনসহ বিভিন্ন শুকনো খাবার পানিবন্দি মানুষদের হাতে তুলে দেন। তাদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও অর্থ ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন বলেও জানান তাঁরা। চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন, ‘মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানির অস্বাভাবিক স্রোতে ঢালচর ইউনিয়নের বাজারসহ পুকুর, মাছের ঘের, রাস্তা-ঘাট নষ্ট হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে রাতে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুকরিমুকরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও চরফ্যাশন প্রেস ক্লাব সভাপতি আবুল হাসেম মহাজন বলেন, চারপাশে বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রায় ৪-৫ ফুট পানি উঠে পুকুর, মাছের ঘের ভেসে গেছে। এসব এলাকার দুর্গত মানুষকে আমরা ব্যক্তিগতভাবে নগদ অর্থসহ শুকনা খাবার দিয়েছি।
Leave a Reply